শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার কোলা পাড়া ইউনিয়নের কুশারীপাড়া এলাকার মুক্তার মাঝির বিরুদ্ধে সরকারী জমির মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রাঢ়ীখাল তপসিল অফিসের নায়েব ইমাম হোসেনের শেল্টারে মুক্তার মাঝি ভুমিহীনদের বন্দোবস্ত দেয়া প্রায় ৩৫ শতাংশ জমিতে দীর্ঘদিন যাবৎ ড্রেজার বসিয়ে মাহাতাব নামের এক কথিত ব্যবসায়ী ও অন্যান্য ব্যক্তিদের কাছে প্রায় ১৫ লাখ টাকার বিক্রি বাণ্যিজ্য চালাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসী উপজেলা ভুমি সহকারী কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) কে জানানো সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না ।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাদুরগাঁও গ্রামের মৃত সমর বেপারীর ছেলে ভুমিহীন মোকলেস বেপারী ও তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে কাদুরগাঁও মৌজাস্থ প্রায় ৩৫ শতাংশ জমি সরকার বন্দোবস্ত দেন। তপসিলে বর্নিত জমির রেকর্ডীয় আরএস দাগ নং ৩৪ ও এসএ দাগ নং-৩০। জমির শ্রেনী নাল। দরিদ্র মোকলেস বেপারীর পক্ষে ঐ জমিতে ইরিধান চাষাবাদ করা ছাড়া বসতি স্থাপন করা সম্ভব নয়। আর এই সুযোগটিই কৌশলে গ্রহণ করেছে পাশ^বর্তী কুশাীপাড়া গ্রামের মৃত আবেদ আলী মাঝির পুত্র। জাল জালিয়াতির নায়ক বলে তাকে উপাধী দিয়েছে এলাকাবাসী। মোকলেছ দম্পতিকে বোঝানো হয়েছে যে, তারা এই জমি ভরাট করে কখনো স্থায়ী বসতি তৈরি করতে পারবে না বিধায় ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করলে কিছু নগদ টাকা পাওয়া যাবে, পুকুর কাটা হয়ে যাবে এবং টাকাও বেচেঁ যাবে। সেই সাথে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম শেষে অনেক টাকার মাছ পাওয়া যাবে। মুক্তার মাঝি এ ধরনের কুপরামর্শ দিয়ে ঐ জমির মাটি সামান্য টাকার বিনিময়ে মোকলেছ দম্পতির নিকট থেকে কিনে নিয়ে ড্রেজার বসিয়ে একই এলাকার কথিত ব্যবসায়ী মাহাতাবসহ অন্যান্যের নিকট প্রায় ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয় কলেজের একজন শিক্ষক বলেন যে, ভুমিহীনকে সরকার জমি বন্দোবস্ত দিলে শুধুমাত্র উক্ত ভুমিহীন ব্যক্তিই ঐ জমিতে বসবাস ও ভোগ দখলের অধিকার রাখে। তাহার উত্তরাধিকারী ছাড়া উক্ত জমি অন্য কারো নিকট বিক্রয় বা হস্তান্তর করা যাবে না। এরূপ কাজ করলে উক্ত জমি বন্দোবস্ত বাতিল হওয়া সহ তার বিরুদ্ধে ক্ষতিপুরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে সরকার। তাহলে কেন ভুমিদস্যু মুক্তার মাঝির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না এমন প্রশ্ন সামনে চলে আসছে। শুধু তাই নয় মুক্তার মাঝি যদি ভূমিদস্যু অপরাধ করে থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক, আর যদি নির্দোষ হয় তাহলে প্রকৃত দোষি ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হোক।
স্থানী সূত্রে আরও জানাযায় যে, মুক্তার মাঝি কৌশলে ঐ জমির মাটি বিক্রি করে প্রায় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মোটা অংকে টাকা সংশ্লিষ্ট ভুমি অফিসের নায়েব ইমাম হোসেন সিন্ডিকেটের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে দিয়েছে। এ কারনে স্থানীয় এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট ভুমি অফিসের কর্মকর্তাকে একাধিকবার অবহিত করেও কোন প্রতিকার পায়নি।
সাম্প্রত্রিক উক্ত বিষয়ে রাঢ়ীখাল ভুমি অফিসের নায়েব ইমাম হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা সত্য হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু পরবর্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে তাকে একাধিক বার মোবাইলে ফোন দেওয়া হলেও সে আর ফোন রিসিভ করেনি।
মুক্তার মাঝির সাথে উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন নায়েব আসছিলো আমি মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি, এখন আমার জায়গায় মাটি কাটাচ্ছি।
গ্রামের সরু রাস্তা দখল করে পাইপের ভিতর দিয়ে ড্রেজারের মাটি অনত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি ভিশন বাংলা ২৪.কম
শ্রীনগর উপজেলা ভুমি কর্মর্কতা বলেন, আমাকে লিখিত অভিযোগ দিলে, আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করব। শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের একজন সদস্য “ভিশন বাংলা ২৪.কম” কে বলেন যে, সাংবাদিকের কাজ কী? প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা, নাকি তথ্য সংক্রান্ত বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া?
চলমান……..